পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তি হলেন Subhendu adhikari। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম কে কেন্দ্র করে মমতা ব্যানার্জি বামফ্রন্ট কে হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ দখল করেছিলএবং এর একমাত্র হাতিয়ার ছিল শুভেন্দু অধিকারী।
বামফ্রন্ট কে হারিয়ে প্রথম ক্ষমতায় এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা টিএমসি সরকার কিন্তু এই TMC বা তৃণমূল কংগ্রেস সাফল্য লাভ করার একমাত্র চাবিকাঠি শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী একাধিক পদে নিযুক্ত একজন রাজ্য মন্ত্রী।
শুভেন্দু অধিকারী কে
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন শুভেন্দু অধিকারী রাজনীতি মেদিনীপুর জেলায় নন্দীগ্রাম এর বাসিন্দা। তিনি কলেজ জীবন থেকে রাজনৈতিক এবং সমাজকল্যাণ মূলক কাজে যুক্ত থাকতো। তার বাবার নাম শিশির অধিকারী এবং তার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। এই পরিবারের সবাই রাজনৈতিক এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে খ্যাতি অর্জন করেছে।শুভেন্দু অধিকারী জীবনী রাজনীতি ও সামাজিক কল্যাণের জন্য সমর্পণ করেছে।
শুভেন্দু অধিকারী এত বিখ্যাত হল কেন?
আমরা অনেকেই জানি হয়তো অনেকেই জানে না 2011 বিধানসভা ভোটের আগে নন্দীগ্রাম টাটা ন্যানো শিল্প কে নিয়ে একটা বড় ছাড়ো আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছিল। এই আন্দোলন হওয়ার কারণ টাটা যে জায়গাটা ন্যানো ফ্যাক্টরি করতে চেয়েছিল সেই জায়গাটা পুরোপুরি কৃষিজমি উপর করা হয়েছিল। বড় বড় পরিবারের জমিগুলো টাকার কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল এবং ছোট এবং মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো জমিন গুলো বিক্রি করেনি তার কাছে এবং জোর জবরদস্তি উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হয়েছিল টাটা ন্যানো ফ্যাক্টরি নিয়ে।
সেই মুহূর্তে আমাদের পূর্ব মেদিনীপুরের গর্ব শুভেন্দু অধিকারী এগিয়ে এসেছিল এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। প্রতিবাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জমিন ফিরে দোয়া এবং ভূমি উচ্ছেদ নামক এক কমিটি তৈরি করা হয়।
এই ভূমি উচ্ছেদ কমিটির প্রধান বা কর্মকর্তা ছিলেন শিবেন্দু অধিকারী। তিনি জানতেন এই যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে কোন একটা রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে তাই তিনি মমতা ব্যানার্জি হাত ধরেন এবং এই যুদ্ধে সফল হয়েছিলেন। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মমতা ব্যানার্জি প্রথম সাফল্য লাভ করে। তার কয়েক মাস পরে তিনি বিধানসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বড় অংকের জিৎ হাসিল করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পিছনে জানা যায় শুভেন্দু অধিকারীর সবচেয়ে বড় হাত ছিল বলে Subhendu Adhikari latest news দাঁড়িয়ে ছিল ওই সময় তাই মমতা সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করেছে।
শুভেন্দু অধিকারী কে ভূমিপুত্র বলা হয় কেন?
যখন নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ করা হয়েছিল অনেক কৃষকের, সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী একটি ভূমি উচ্ছেদ কমিটি নামক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল যাদের জোর করে কৃষি জায়গা দখল করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং ন্যানো শিল্পকে বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। এই ভূমি উচ্ছেদ কমিটির প্রধান ছিল Subhendu adhikari, এর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছে, অনেক রক্ত ঝরিয়েছে কৃষকের জায়গা ফিরিয়ে দেবার জন্য। এই কারণে শুভেন্দু অধিকারী কে ভূমিপুত্র বলা হয়।
শুভেন্দু অধিকারী আগে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল?
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বাম আমল থেকেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই সময়কালের তৃণমূলের হয়ে বহু কাজ এবং রাজনৈতিক ভালো ভালো কাজ করে গেছেন বলে জানা যায়। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র বলে তিনি এই জেলার হয়ে প্রচুর কাজ করে গেছে। এই পূর্ব মেদিনীপুরের ছোট থেকে বড় রাস্তা লালমাটি থেকে ঢালাই রাস্তায় পরিণত করেছে, এমনকি গলি গলি পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা পৌঁছে দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। এই ব্যক্তির রাজনীতি জীবনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের।
শুভেন্দু অধিকারী বর্তমান কোন দল করে?
বর্তমান অধিকারী বংশের প্রথম শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করে, এখন ভারতীয় জনতা পার্টির একজন অন্যতম সদস্য হয়ে গেছে বা Suvendu Adhikari joining BJP এবং দল পরিবর্তন করে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে এবং বিভিন্ন পদে নিযুক্ত করা হয়েছে এই যুব নেতা কে।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস কেন ছাড়লেন?
অনেকের মতে কিংবা তৃণমূলের দাবি শুভেন্দু অধিকারী নানারকম কর্মসূচি সেগুলো রাজ্য তৃণমূলে অপছন্দ হিসেবে কাজ করতেন। আরো জানা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী অনেক কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন যেগুলো তৃণমূল বিরোধী বলে দাবি করেছে রাজ্য তৃণমূল পরিষদ।
আপনারা নিশ্চয় টিভির পর্দায় বা তার নিজস্ব ভাষা নেই যেটা জানিয়েছে সেটা অবাক করে দেওয়ার মত। শুভেন্দু অধিকারীর নিজের দাবি তিনি নানারকম পদে নিযুক্ত ছিলে কিন্তু ওইসব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কেন। আরো জানা যায় যেসব কাজ করতেন সেই সব কাজ তৃণমূল কেউ সহ্য করতে পারত না কেন? তিনি ব্যক্তিগতভাবে বা রাজনৈতিক দিক দিয়ে কোন আত্মমর্যাদা পেত না বলে জানিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর যে পথ দিয়ে হতে চেয়েছিল সে পথে হাঁটতে দেওয়া হতো না বলে শুভেন্দু অধিকারী নিজেই জানিয়েছে সাংবাদিক সম্মেলনে। সবথেকে বড় কথা তাকে একাধিক পদ থেকে সরিয়ে ফেলা কারণে তিনি দল ত্যাগ করেছেন।
রাজনীতিবিদদের মত কি?
রাজনীতিবিদদের মত অনুযায়ী বর্তমান বিজেপি হাওয়া বইছে এবং 2021 এর বিধানসভা হারতে চলেছে টিএমসি সরকার, তাই আগেভাগেই তিনি দল পরিবর্তন করে ফেলেছে। তথ্য অনুযাই 2019 এর লোকসভায় বিশাল সমৃদ্ধ লাভ করেছে বঙ্গ বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে Suvendu Adhikari joining BJP তে যোগদান করেছে। নারোদা ও সারদা কাণ্ডে জড়িত আছে বলে তাই সিবিআই তদন্তের ভয় তিনি যোগ দেন দিয়েছে বিজেপিতে।
আপনারা জানতে পারলেন শুভেন্দু অধিকারী আগে কোন দল করতো, শুভেন্দু অধিকারী কে, তাকে ভূমিপুত্র কেন বলা হয়, তিনি দল কেন পরিবর্তন করলেন বা টিএমসি থেকে বিজেপিতে যোগদান দেওয়ার কারণ কি সম্পূর্ণ বিষয়টি।
এই আর্টিকেলটি কাউকে ছোট কিংবা বড় করার উদ্দেশ্যে নয়, আমি আমার মত প্রকাশ করেছি মাত্র। ভারতবর্ষের সাধারণ নাগরিক তার ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করিতে পারে। যদি আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে কোন অসুবিধা কিংবা কন্টেনের প্রবলেম থাকে তাহলে আমার কন্টাক্ট এ গিয়ে কন্টাক্ট করতে পারেন।
ConversionConversion EmoticonEmoticon