ব্লগার থেকে রোজগারের 10টি উপায় কোথায়, কিভাবে

 কখনো ভেবে দেখেছেন ব্লগার থেকে রোজগার করা যায় বা how to Earnings from Blogger। আজকে আমরা জানব গুগোল ছাড়া ব্লগার থেকে টাকা আয় বা "ব্লগার থেকে রোজগার"কোথায়, কিভাবে, কেমন করে করা যায়।

আপনি যদি  ব্লগার থেকে রোজগার করছেন  এডসেন্সের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত আপনারা অ্যাপ্রুভ পাচ্ছেন না এবং আপনার ব্লগারে ট্রাফিক বা ভিজিটর অনেক বেশি, তাহলে আপনি মাসে কয়েক হাজার টাকা অ্যাডসেন্স ছাড়া 'রোজগার' করতে পারবেন। অনেকে আছে এডসেন্স এর কাছাকাছি এক্সট্রা ইনকাম করছে ব্লগার থেকে। আজকে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব অ্যাডসেন্স ছাড়া কিভাবে রোজগার করতে পারবেন ব্লগার থেকে।

blogger theke rojgar

ব্লগার থেকে রোজগার?

ব্লগার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে থেকে আপনারা লিখে টাকা রোজগার করতে পারেন। যদি আপনার ট্যালেন্ট থাকে তাহলে প্রতিমাসে কমপক্ষে 10 থেকে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি রোজার করতে পারেন।আপনি গেস্ট পোস্ট, অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম,স্পনসর্শিপ, আপনার স্থানীয় লোকাল স্টোরের এডভেটাইজ লাগিয়ে আপনারা রোজগার করতে পারেন।

ব্লগার গেস্ট পোস্ট থেকে রোজগার?

আপনি যদি আপনার ব্লগারে খুব সুন্দর কন্টান গুলি আপলোড করে থাকেন এবং আপনার ব্লগারে ভিজিটর সংখ্যা অনেক বেশি তাহলে আপনি গেস্ট পোস্ট করে টাকা রোজগার করতে পারেন। অনেক নতুন নতুন ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে যারা ব্যাকলিংক পাওয়ার জন্য অনেক বড় ওয়েবসাইট গুলোকে টেস্ট পোস্ট করার জন্য টাকা দেয় এবং অনেক কোম্পানি রয়েছে তাদের কোম্পানির বিষয়গুলি লিখে অনেক ওয়েবসাইট গুলোকে এস পোস্টগুলি শেয়ার করতে বলে। এই গেস্ট পোস্টের বিনিময়ে আপনি টাকা চার্জ করতে পারেন। বর্তমান এই গেস্ট পোস্ট অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন একটি পোষ্টের প্রাইজ 100 থেকে হাজার টাকা হয়ে থাকে। এছাড়া কোন কোম্পানির যদি আপনাকে গেস্ট পোস্ট করতে দেয় সেখানে আপনি 1000 থেকে 10000 টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। এইভাবে আপনারা গেস্ট পোস্ট থেকে টাকা রোজগার করতে পারেন।

 অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে রোজগার?

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমান বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ অনলাইন কেনাকাটা করে। মানুষের এই কেনাকাটা কে কেন্দ্র করে অনেক ব্লগার রয়েছে যারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জয়েন্ট হয়ে প্রোডাক্টের লিংক তাদের ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের মধ্যে লাগিয়ে টাকা রোজগার করে। আপনার নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের ব্লগার কিংবা ওয়েবসাইটের উপরে বা নিচে অ্যামাজন কিংবা ফ্লিপকার্ট এর মত নামিদামি কোম্পানির প্রডাক্ট লিঙ্কগুলো শেয়ার করে থাকে এবং এই লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি কোন কিছু কেনাকাটা করে তাহলে একটা ভালো অংকের কমিশন পেয়ে থাকে। 

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে রোজগার?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে ব্লগারে রোজগার করার জন্য প্রথমে আপনাকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এই লিংকে ক্লিক করে যেতে পারেন বা আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ বারে এইভাবে টাইপ করে সার্চ দিলে আপনি অফিশিয়াল পেজে চলে যাবেন। এখানে গিয়ে আপনি আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে আপনার প্রোফাইলটি তৈরি  করে নিবেন। আপনার যদি প্রোফাইলটি তৈরি হয়ে যায় তাহলে আপনি যেকোনো প্রডাক্টের এফিলিয়েট লিংক কপি করে ব্লগার layout অপশনটিতে কে আপনি যেকোনো জায়গায় অ্যাড প্লেসমেন্ট করে দেবেন। যখন কেউ ক্লিক করবে এই প্রোডাক্ট এর উপর এবং ওই প্রোডাক্ট যদি কেউ কিনে নে সেখান থেকে আপনি পাঁচ থেকে পনের পার্সেন্ট পর্যন্ত কমিশন পেতে থাকবে। এইভাবে কিন্তু আপনি অ্যামাজনের মাধ্যম থেকে ব্লগারে রোজগার করতে পারবেন।

ফ্লিপকার্ট থেকে ব্লগারে রোজগার কিভাবে করবেন?

আপনারা উপরে অ্যামাজন মত ফ্লিপকার্টে মাধ্যমে ব্লগার থেকে রোজগার করতে পারেন। আপনি ঠিক অ্যামাজনের মতো একই প্রসেসে ফ্লিপকার্ট আফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন করে যেকোনো প্রডাক্টের লিংক কপি করে আপনার ব্লগারে অ্যাড চালাতে পারেন। ফ্লিপকার্ট অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে কেউ যদি কিনাকাটা করে তাহলে আপনি  মোটা অংকের টাকা রোজগার করতে পারবেন। আপনি যদি ফ্লিপকার্ট আফিলিয়েট লিনক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে ফ্লিপকার্ট আফিলিয়েট প্রোগ্রামে এই লিংকে ক্লিক করে যেতে পারেন। আপনি নির্দিষ্ট ডকুমেন্টগুলি ঠিকঠাক ভাবে পূরণ করে এর অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

ব্লগার থেকে রোজগার করা 10টি টিপস?

যদি আপনি ব্লগার থেকে কম রোজগার করছেন তাহলে আপনার জন্য এই 10 টি টিপস খুব কাজে লাগবে। এই টিপসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে চারগুনা বেশি রোজগার করতে পারবেন।

• যখনই আপনি কোন আর্টিকেল লিখেছেন কোন বড় কোম্পানি কিংবা নামিদামি প্রোডাক্টের সম্বন্ধে লেখার চেষ্টা করবেন, এতে আপনার অনেকটা রোজগার বেড়ে যেতে পারে।

• আপনি যে ধরনের আর্টিকেল লিখছেন, আর্টিকেল রিলেটেড আফিলিয়েট লিংক আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে দিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। এতে আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি কেনাকাটা করে তাহলে আপনার  রোজগার বেড়ে যাবে।

• এফিলিয়েট লিংক গুলো আপনি যখন ব্যবহার করবেন তখন দুটো থেকে তিনটে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

• একটি কোম্পানির আফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করবে না। অনেকে আছে ফ্লিপকার্ট থেকে কিনতে চাই আবার অনেকে আছে অ্যামাজন থেকে কিনতে চায় যদি আমি দুটো লিঙ্ক দিয়ে থাকেন যে যার পছন্দ করি কোম্পানি থেকে কিনতে পারে।

• যদি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্সে অ্যাড লাগানো রয়েছে দয়া করে Auto ads অন করে দেবেন। এই auto ads এর মাধ্যমে আপনার রোজগার অনেকটা বেড়ে যাবে।

• যদি আমি গেস্ট পোস্ট থেকে রোজগার করতে চান তাহলে দয়া করে আপনি নতুন নতুন ব্লগার গুলিতে  কমেন্টে করে গেস্ট পোস্ট আনতে পারেন এবং এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি রোজগার করতে পারেন।

• আপনি যদি লোকাল নিউজ আপনার ব্লগে পাবলিশ করেন তাহলে আপনি আপনার লোকাল এলাকার  বড় শোরুম  কিংবাহোলসেল দোকানদারের কাছ থেকে অ্যাড সংগ্রহ করে পয়সা রোজগার করতে পারেন।

• রোজগার, টাকা, অনলাইন ইনকাম, ইন্সুরেন্স, টেলিভিশন, এইসব কীওয়ার্ডগুলি আপনার আর্টিকেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে আপনার ইনকাম অনেকটা বেড়ে যাবে যদি আপনি যেকোনো এড নেটওয়ার্ক থেকে অ্যাডগুলো চালাচ্ছে,

• যদি আপনি নতুন ব্লগ শুরু করেছেন এবং কিছুদিন আগে অ্যাডসেন্সের পড়েছেন তাহলে কিন্তু আপনি গুগল কিওয়ার্ড টুল ব্যবহার করুন এবং এতে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন তার বর্তমান সিপিসি এবং সার্চ ভ্যালু কতটা দেখে যদি আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার ইনকাম অনেকটা বেড়ে যাবে।

• আপনি যেকোনো একটি পার্টিকুলার বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেনচ। এতে আপনার ভিজিটর, রেঙ্ক এবং আর্নিং বা রোজগার বাড়বে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনারা ব্লগার থেকে রোজগার করবেন বা how to Earnings from Blogger। অ্যাডসেন্স ছাড়া আপনারা কিভাবে রোজগার করতে পারবেন ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে এবং ব্লগার থেকে রোজগার বাড়ানোর দশটি টিপস আপনারা জানতে পারলেন। যদি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং ব্লগার এর সম্বন্ধে কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন contact US ব্যবহার করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ





Previous
Next Post »